আমাদের কাছে গ্রহনযোগ্য নয়
বাংলাদেশে গ্রাজুয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (BGJA) সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও নৈতিকতার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। তবে, সংগঠনটি কিছু বিষয় একেবারেই প্রত্যাশা করে না, যেগুলো তাদের মূল লক্ষ্য ও মানদণ্ডের বিপরীত। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. পেশাগত দায়িত্বে অবহেলা
তথ্য যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ।
অসতর্ক বা ভুল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি।
সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনে অলসতা বা গাফিলতি।
২. পক্ষপাতদুষ্টতা ও অসততা
নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রচার।
বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক স্বার্থে সংবাদকে বিকৃত করা।
সংবাদ পরিবেশনে সত্য এবং ন্যায় নীতি লঙ্ঘন।
৩. সংগঠনের ঐক্যহীনতা সৃষ্টি
সদস্যদের মধ্যে বিভেদ বা বিভাজন সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড।
সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন।
অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা লঙ্ঘন বা মতানৈক্য তৈরি।
৪. গুজব ও বিদ্বেষ ছড়ানো
সত্যতা যাচাই ছাড়াই গুজব বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো।
সাম্প্রদায়িক বা বিভেদমূলক বক্তব্য প্রচার।
সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সমাজে উত্তেজনা বা সংঘাত উসকে দেওয়া।
৫. অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড
সাংবাদিকতার পেশা ব্যবহার করে আর্থিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি।
তথ্য চুরির মতো অবৈধ পন্থা ব্যবহার।
ঘুষ গ্রহণ বা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা।
৬. গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষতি করা
সরকারের বা কোনো প্রতিষ্ঠানের চাপের কারণে স্বাধীন মতামত প্রকাশে বাধা দেওয়া।
মুক্ত সাংবাদিকতার বিপরীতে কাজ করা।
বাকস্বাধীনতা দমনের প্রচেষ্টা।
৭. প্রযুক্তির অপব্যবহার
সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইনে মিথ্যা তথ্য বা কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করা।
সাইবার অপরাধ বা হ্যাকিংয়ে সম্পৃক্ততা।
৮. সাংবাদিকতার নৈতিকতা লঙ্ঘন
সংবেদনশীল ইস্যুতে দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদ প্রকাশ।
ব্যক্তিগত আক্রমণ বা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের জন্য সাংবাদিকতার অপব্যবহার।
তথ্যের উৎস প্রকাশ করে গোপনীয়তার নীতি ভঙ্গ।
৯. জনস্বার্থবিরোধী কাজ
জনগণের আস্থা নষ্ট করে এমন কর্মকাণ্ড।
সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন সংবাদ বা তথ্য প্রচার।
BGJA এই ধরনের আচরণ বা কাজ প্রত্যাশা করে না, কারণ এগুলো সংগঠনের মূল লক্ষ্য—সাংবাদিকতার পেশাগত মান উন্নয়ন এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি—এর সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।